ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামনে লাইন, ভেতরে ফাঁকা….

  • পোষ্ট হয়েছে : ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১২ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের লাইন দেখা গেলেও ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোনো ভোটার নেই। এ ছাড়া ভোট পড়ার হারও লাইনে ভিড়ের তুলনায় খুবই কম।

 

বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নারীরা দুই সারিতে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতি সারিতে ৬০-৭০ জন। তাদের লাইনে দাঁড় করাচ্ছিলেন বনানী থানা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রিয়া।

 

সেখানে কড়াইলের বউবাজার থেকে আসা আমেনা নামে একজনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার শাশুড়ি আসবে, তাই লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।

 

কেন সবাইকে লাইনে দাঁড় করাচ্ছেন— এ বিষয়ে রিয়াকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছি। তাই সবাইকে লাইনে দাঁড় করাচ্ছি।

 

কিন্তু ভোটকেন্দ্রের ভেতরে তো কোনো ভোটার নেই— জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যান।

 

একই ঘটনা কড়াইলের টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজেও। সেখানে একটি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৩১টি। অথচ বাইরে বেশ বড় লাইন নারীদের।

 

সেখানে জান্নাত হোসেন নামে এক নারীকে কেন দাঁড়িয়ে আছেন জিজ্ঞেস করা হয়, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ফাঁকা, তা হলে বাইরে কেন দাঁড়িয়ে আছেন। তখন তিনি ভোট দিতে ভেতরে যান এবং ভোট না দিয়েই আবার বের হয়ে আসেন। এ সময় তার হাতে আগে থেকেই ভোট দেওয়ার কালি লাগানো আছে। অর্থাৎ তিনি ভোট দেওয়ার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

 

এই কেন্দ্রে নারীদের লাইনে দাঁড় করানোর দায়িত্ব পালন করছেন ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা তাহমিনা আফরিন খাদিজা। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ১০ জন করে ভেতরে পাঠাতে বলা হয়েছে। তাই বাকিদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখছি।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

সামনে লাইন, ভেতরে ফাঁকা….

পোষ্ট হয়েছে : ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের লাইন দেখা গেলেও ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোনো ভোটার নেই। এ ছাড়া ভোট পড়ার হারও লাইনে ভিড়ের তুলনায় খুবই কম।

 

বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নারীরা দুই সারিতে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতি সারিতে ৬০-৭০ জন। তাদের লাইনে দাঁড় করাচ্ছিলেন বনানী থানা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রিয়া।

 

সেখানে কড়াইলের বউবাজার থেকে আসা আমেনা নামে একজনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার শাশুড়ি আসবে, তাই লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।

 

কেন সবাইকে লাইনে দাঁড় করাচ্ছেন— এ বিষয়ে রিয়াকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছি। তাই সবাইকে লাইনে দাঁড় করাচ্ছি।

 

কিন্তু ভোটকেন্দ্রের ভেতরে তো কোনো ভোটার নেই— জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যান।

 

একই ঘটনা কড়াইলের টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজেও। সেখানে একটি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৩১টি। অথচ বাইরে বেশ বড় লাইন নারীদের।

 

সেখানে জান্নাত হোসেন নামে এক নারীকে কেন দাঁড়িয়ে আছেন জিজ্ঞেস করা হয়, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ফাঁকা, তা হলে বাইরে কেন দাঁড়িয়ে আছেন। তখন তিনি ভোট দিতে ভেতরে যান এবং ভোট না দিয়েই আবার বের হয়ে আসেন। এ সময় তার হাতে আগে থেকেই ভোট দেওয়ার কালি লাগানো আছে। অর্থাৎ তিনি ভোট দেওয়ার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

 

এই কেন্দ্রে নারীদের লাইনে দাঁড় করানোর দায়িত্ব পালন করছেন ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা তাহমিনা আফরিন খাদিজা। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ১০ জন করে ভেতরে পাঠাতে বলা হয়েছে। তাই বাকিদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখছি।