ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একজন ভোটার আসছে ভাই

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৭ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রথম দুই-তিন ঘণ্টায় ভোটারই ছিলেন না।

 

ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশিরভাগ কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। ভোটারের জন্য অপেক্ষা করছেন নিরাপত্তাকর্মী, পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসাররা।

 

টি এন্ড টি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে দেখা গেছে বহু সময় পর্যন্ত কোনো ভোটার নাই। এখানে একজন ভোটার আসা মাত্র কেন্দ্রের চারটি কক্ষেই ছড়িয়ে পড়ল বাতাসের মতো বার্তা- ভাই একজন ভোটার আসছে। ভোটারের দিকে নির্বাচনি কর্মকর্তা, এজেন্ট সবার চোখ। এক পুলিশ সদস্য বলেন, ভাই অই কেন্দ্রে যান ওখানে ভোটার আছে।

 

টিএন্ডটি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীর সমর্থকদের চোখে পড়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের ভেতরে ভোটার নেই। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বরতরা রীতিমতো হাই তুলছেন।

 

আরও কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের এমন চিত্র দেখা গেছে।নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানাও ভোটার কম আসার কথা স্বীকার করেছেন।

 

আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সেই গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজকেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।

 

সকাল ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় কেন্দ্রটিতে মোট ভোট পড়েছে মাত্র ১০টি। কেন্দ্রের কোনো কক্ষেই ভোটারদের লাইন দেখা যায়নি।

 

সোমবার সকাল ১০টায় ৬৫ নম্বর এই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীর সমর্থকদের সমাগম থাকলেও কেন্দ্রের ভেতরে নেই ভোটার উপস্থিতি। কেন্দ্রের একটি কক্ষের সামনে এক পুলিশ সদস্য তার ঊর্ধ্বতনকে বলতে শোনা যায়, ‘ভোটারের চেয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের চাপ বেশি স্যার।’

 

কেন্দ্রের ১ ও ৩ নম্বর কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল থেকে ভোটারদের অপেক্ষায় আছেন তারা। তাদের আশা, দুপুরের পর ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

 

সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৩ নম্বর কক্ষে সকাল থেকে ভোট পড়েছে ছয়টি। সকাল ৮টায় ভোট দিতে এসেছেন দুজন।’

 

অন্যদিকে ১ নম্বর কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার সেলিম মোল্লা সকাল ১০টার দিকে তার কক্ষের পরিস্থিতি জানিয়ে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ ভোট দিতে আসে নাই।’

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

একজন ভোটার আসছে ভাই

পোষ্ট হয়েছে : ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রথম দুই-তিন ঘণ্টায় ভোটারই ছিলেন না।

 

ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশিরভাগ কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। ভোটারের জন্য অপেক্ষা করছেন নিরাপত্তাকর্মী, পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসাররা।

 

টি এন্ড টি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে দেখা গেছে বহু সময় পর্যন্ত কোনো ভোটার নাই। এখানে একজন ভোটার আসা মাত্র কেন্দ্রের চারটি কক্ষেই ছড়িয়ে পড়ল বাতাসের মতো বার্তা- ভাই একজন ভোটার আসছে। ভোটারের দিকে নির্বাচনি কর্মকর্তা, এজেন্ট সবার চোখ। এক পুলিশ সদস্য বলেন, ভাই অই কেন্দ্রে যান ওখানে ভোটার আছে।

 

টিএন্ডটি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীর সমর্থকদের চোখে পড়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের ভেতরে ভোটার নেই। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বরতরা রীতিমতো হাই তুলছেন।

 

আরও কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের এমন চিত্র দেখা গেছে।নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানাও ভোটার কম আসার কথা স্বীকার করেছেন।

 

আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সেই গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজকেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।

 

সকাল ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় কেন্দ্রটিতে মোট ভোট পড়েছে মাত্র ১০টি। কেন্দ্রের কোনো কক্ষেই ভোটারদের লাইন দেখা যায়নি।

 

সোমবার সকাল ১০টায় ৬৫ নম্বর এই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীর সমর্থকদের সমাগম থাকলেও কেন্দ্রের ভেতরে নেই ভোটার উপস্থিতি। কেন্দ্রের একটি কক্ষের সামনে এক পুলিশ সদস্য তার ঊর্ধ্বতনকে বলতে শোনা যায়, ‘ভোটারের চেয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের চাপ বেশি স্যার।’

 

কেন্দ্রের ১ ও ৩ নম্বর কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল থেকে ভোটারদের অপেক্ষায় আছেন তারা। তাদের আশা, দুপুরের পর ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

 

সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৩ নম্বর কক্ষে সকাল থেকে ভোট পড়েছে ছয়টি। সকাল ৮টায় ভোট দিতে এসেছেন দুজন।’

 

অন্যদিকে ১ নম্বর কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার সেলিম মোল্লা সকাল ১০টার দিকে তার কক্ষের পরিস্থিতি জানিয়ে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ ভোট দিতে আসে নাই।’