ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুজন আটক হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায়

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ৪২ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: রাজধানীর বনানী এলাকায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

 

সোমবার বিকালে রাজধানীর বনানী এলাকা তাদের আটক করা হয়েছে। ডিবির এডিসি হাফিজ আল আসাদ (এডিসি গুলশান বিভাগ) বলেন, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে।

 

আমাদের কাছে যে ভিডিও ফুটেজ আছে, সেগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে, সেখানে তাদের কী ভূমিকা রয়েছে।সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হন হিরো আলম।

 

হামলার সময় হামলাকারীরা নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরা ছিলেন। হামলায় আহত একতারা প্রতীকের প্রার্থী হিরো আলমকে রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট মো. ইলিয়াস। হিরো আলম যখন কলেজ ভবনের করিডোর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন তখন কিছু ভক্ত তার সঙ্গে সেলফি তোলেন।

 

 

সেসময় কিছু লোক তাকে এসে বলেন, ‘এটা টিকটক ভিডিও করার জায়গা না,’ ‘এটা ভোটকেন্দ্র,’ ‘এটা গুলশান-বনানী’—এই বলে তাকে মারধর শুরু করেন। তারা হিরো আলমকে ধাওয়া দেন এবং তাকে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যান।

 

পরে একটি গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান হিরো আলম। হিরো আলমকে মারধরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

 

ভিডিওতে দেখা গেছে, হিরো আলমকে কেন্দ্র থেকে ধাওয়া দিয়ে বের করে নেওয়ার সময় পাশেই পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন।

 

তাকে রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে আসেনি। একপর্যায়ে হামলাকারীরা তাকে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যান।

 

এরপর তাকে রাস্তায় ফেলে তাকে লাথি ও কিলঘুষি মারা হয়। নৌকার ব্যাজ পরা হামলাকারীদের কয়েকজনের হাতে লাঠিসোঁটাও ছিল। মারধরের মুখে দৌড়ে পালান হিরো আলম।

 

এসময় আশপাশে সবাই মারধরের দৃশ্য ভিডিও করলেও তাকে রক্ষায় কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। একপর্যায়ে নিজেকে বাঁচাতে খোঁড়াতে খোঁড়াতে দৌড়াতে থাকেন হিরো আলম।

 

কিছু দূর যাওয়ার পর তিনি একটি রিকশায় উঠেন। এসময় দুজন তাকে সহযোগিতা করেন।এরপর রিকশা থেকে নেমে আবার তিনি দৌড়াতে শুরু করেন। পরে হিরো আলম একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

দুজন আটক হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায়

পোষ্ট হয়েছে : ০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: রাজধানীর বনানী এলাকায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

 

সোমবার বিকালে রাজধানীর বনানী এলাকা তাদের আটক করা হয়েছে। ডিবির এডিসি হাফিজ আল আসাদ (এডিসি গুলশান বিভাগ) বলেন, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে।

 

আমাদের কাছে যে ভিডিও ফুটেজ আছে, সেগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে, সেখানে তাদের কী ভূমিকা রয়েছে।সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হন হিরো আলম।

 

হামলার সময় হামলাকারীরা নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরা ছিলেন। হামলায় আহত একতারা প্রতীকের প্রার্থী হিরো আলমকে রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট মো. ইলিয়াস। হিরো আলম যখন কলেজ ভবনের করিডোর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন তখন কিছু ভক্ত তার সঙ্গে সেলফি তোলেন।

 

 

সেসময় কিছু লোক তাকে এসে বলেন, ‘এটা টিকটক ভিডিও করার জায়গা না,’ ‘এটা ভোটকেন্দ্র,’ ‘এটা গুলশান-বনানী’—এই বলে তাকে মারধর শুরু করেন। তারা হিরো আলমকে ধাওয়া দেন এবং তাকে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যান।

 

পরে একটি গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান হিরো আলম। হিরো আলমকে মারধরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

 

ভিডিওতে দেখা গেছে, হিরো আলমকে কেন্দ্র থেকে ধাওয়া দিয়ে বের করে নেওয়ার সময় পাশেই পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন।

 

তাকে রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে আসেনি। একপর্যায়ে হামলাকারীরা তাকে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যান।

 

এরপর তাকে রাস্তায় ফেলে তাকে লাথি ও কিলঘুষি মারা হয়। নৌকার ব্যাজ পরা হামলাকারীদের কয়েকজনের হাতে লাঠিসোঁটাও ছিল। মারধরের মুখে দৌড়ে পালান হিরো আলম।

 

এসময় আশপাশে সবাই মারধরের দৃশ্য ভিডিও করলেও তাকে রক্ষায় কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। একপর্যায়ে নিজেকে বাঁচাতে খোঁড়াতে খোঁড়াতে দৌড়াতে থাকেন হিরো আলম।

 

কিছু দূর যাওয়ার পর তিনি একটি রিকশায় উঠেন। এসময় দুজন তাকে সহযোগিতা করেন।এরপর রিকশা থেকে নেমে আবার তিনি দৌড়াতে শুরু করেন। পরে হিরো আলম একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।