Dhaka , মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠান্ডায় নাক বন্ধ হলে দ্রুত কী করবেন?

  • রিপোর্টার নাম
  • আপডেট সময়: ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪৮৪ বার দেখা হয়েছে

শীতে ছোট-বড় সবাই কমবেশি ঠান্ডার সমস্যায় ভোগেন। এ সময়ের ঠান্ডা আবহাওয়া ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সর্দি-কাশিতে ভোগেন অনেকেই। শীত আসতেই সাইনোসাইটিস কিংবা অ্যালার্জির সমস্যাও বেড়ে যায়। এর ফলে সর্দিতে নাক বন্ধভাব হয়। যা খুবই বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালীন অ্যালার্জি থেকে নাক দিয়ে পানি পড়া, গলায় খুসখুসে ভাব, চোখে লাল ভাব, কাশি এগুলো খুব সাধারণ বিষয়। একই সঙ্গে নাক বন্ধ হওয়াটাও স্বাভাবিক। নাক বন্ধের সমস্যা আসলে শরীরের প্রদাহের সঙ্গে জড়িত।

অনুনাসিক গহ্বরের একটি আস্তরণ যখন অতিরিক্ত প্রদাহের মাধ্যমে নাসারন্ধ্রতে সমস্যা সৃষ্টি করে, তখনই বায়ু চলাচলের প্যাসেজগুলো সরু হয়ে গিয়ে বায়ুপ্রবাহকে সংকুচিত করে। ফলে নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

এমন ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন নাকবন্ধ থাকতে পারে। কোনো গন্ধ পাওয়া যায় না। এতে নাকের ভেতরের জ্বলীয়ভাব ক্রমশ স্ফীত হতে থাকে, ফলে সর্দি ও কফ যুক্ত কাশির সৃষ্টি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার ঠান্ডা পানি দিয়ে নাক ধুলেও সমস্যা কমতে পারে। এতে শ্বাস নেওয়ার অসুবিধা দূরে হয়। প্রতিদিনের ন্যাসাল ড্রপের সঙ্গে অ্যালার্জিক রেনাইটিসও কিন্তু কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।

এ সময়ে নাকে শ্লেষ্মা, ধুলো, বালি, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জমতে পারে। শীতে সারা শরীরের সঙ্গে নাসারন্ধ্র ও তার সংলগ্ন পর্দা সবকিছুই শুকিয়ে থাকে, তাই জীবাণুর বাসা বাঁধার জন্য এটি আদর্শ স্থান।

এজন্য বারবার নাক ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। ভালো করে সাইনাসনালি পরিষ্কার করুন। ন্যাসাল ড্রপ ব্যবহারে সাইনাসনালি আর্দ্র থাকে। প্রয়োজনে অ্যাসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া বেশ কিছু শ্বাসযন্ত্রের উপযোগী ব্যায়াম করলেও উপকার মিলবে।

এসবের পাশাপাশি শীতে বেশি করে ভিটামিন সি জাতীয় ফল যেমন আমলকি খাওয়া অভ্যাস করুন। যেহেতু শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে তাই এ সময় পর্যাপ্ত ভিটামিন সি খেতে হবে।

ট্যাগ:
সর্বাধিক

দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা

ঠান্ডায় নাক বন্ধ হলে দ্রুত কী করবেন?

আপডেট সময়: ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

শীতে ছোট-বড় সবাই কমবেশি ঠান্ডার সমস্যায় ভোগেন। এ সময়ের ঠান্ডা আবহাওয়া ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সর্দি-কাশিতে ভোগেন অনেকেই। শীত আসতেই সাইনোসাইটিস কিংবা অ্যালার্জির সমস্যাও বেড়ে যায়। এর ফলে সর্দিতে নাক বন্ধভাব হয়। যা খুবই বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালীন অ্যালার্জি থেকে নাক দিয়ে পানি পড়া, গলায় খুসখুসে ভাব, চোখে লাল ভাব, কাশি এগুলো খুব সাধারণ বিষয়। একই সঙ্গে নাক বন্ধ হওয়াটাও স্বাভাবিক। নাক বন্ধের সমস্যা আসলে শরীরের প্রদাহের সঙ্গে জড়িত।

অনুনাসিক গহ্বরের একটি আস্তরণ যখন অতিরিক্ত প্রদাহের মাধ্যমে নাসারন্ধ্রতে সমস্যা সৃষ্টি করে, তখনই বায়ু চলাচলের প্যাসেজগুলো সরু হয়ে গিয়ে বায়ুপ্রবাহকে সংকুচিত করে। ফলে নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

এমন ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন নাকবন্ধ থাকতে পারে। কোনো গন্ধ পাওয়া যায় না। এতে নাকের ভেতরের জ্বলীয়ভাব ক্রমশ স্ফীত হতে থাকে, ফলে সর্দি ও কফ যুক্ত কাশির সৃষ্টি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার ঠান্ডা পানি দিয়ে নাক ধুলেও সমস্যা কমতে পারে। এতে শ্বাস নেওয়ার অসুবিধা দূরে হয়। প্রতিদিনের ন্যাসাল ড্রপের সঙ্গে অ্যালার্জিক রেনাইটিসও কিন্তু কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।

এ সময়ে নাকে শ্লেষ্মা, ধুলো, বালি, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জমতে পারে। শীতে সারা শরীরের সঙ্গে নাসারন্ধ্র ও তার সংলগ্ন পর্দা সবকিছুই শুকিয়ে থাকে, তাই জীবাণুর বাসা বাঁধার জন্য এটি আদর্শ স্থান।

এজন্য বারবার নাক ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। ভালো করে সাইনাসনালি পরিষ্কার করুন। ন্যাসাল ড্রপ ব্যবহারে সাইনাসনালি আর্দ্র থাকে। প্রয়োজনে অ্যাসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া বেশ কিছু শ্বাসযন্ত্রের উপযোগী ব্যায়াম করলেও উপকার মিলবে।

এসবের পাশাপাশি শীতে বেশি করে ভিটামিন সি জাতীয় ফল যেমন আমলকি খাওয়া অভ্যাস করুন। যেহেতু শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে তাই এ সময় পর্যাপ্ত ভিটামিন সি খেতে হবে।