প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা আরও বাড়ানো উচিত। এমন মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বলেন, শুধু তেল ঘাঁটি বা জ্বালানি কেন্দ্র নয়, ইউক্রেনের অন্যান্য জায়গায়ও হামলা জোরদার করতে হবে আমাদের। খবর সিএনএনের। বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

নানা সময়ে ইউক্রেনবিরোধী জ্বালাময়ী মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন এই নেতা। এদিকে মস্কোতে আবারও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। অভিযোগ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের।

তবে এ হামলা প্রতিহত করেছে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী। অন্যদিকে রোববার ওডেসায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, রুশ হামলায় শুধু মানুষ-ই মারা যায় না, ইউনেস্কোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা ও গির্জাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কুলেবা আরও লিখেছেন- ইউক্রেনের সংস্কৃতি, মতাদর্শ ও ধর্ম ধূলিসাৎ করার পাঁয়তারা করছে রাশিয়া। এজন্য অর্থোডক্স গির্জায়কেও হামলার টার্গেট করেছে দেশটি। এমন নির্মম হামলা কেন হলো, তার কারণ জানতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠক ডাকারও আহ্বান করেছেন কুলেবা।

কুলেবার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ তুলেছেন, জাতিসংঘ (ইউনেস্কো) ইউক্রেনের পক্ষ নিচ্ছে। এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি লিখেছেন, ডিসেম্বরে যখন ইউক্রেন ওডেসার বিখ্যাত ‘ক্যাথারিন দ্য গ্রেট’ ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়, তখন ইউনেস্কো নীরব ছিল। ধারণা করা হয়, দক্ষিণ ইউক্রেনের প্রতিষ্ঠাতা ‘ক্যাথারিন দ্য গ্রেট’।

এক সময় বৃহত্তর রাশিয়ার রানি ছিলেন তিনি। তাই ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্ববহ এ ভাস্কর্যটি শুধু ইউক্রেনেরই নয়, রাশিয়ার সংস্কৃতিরও অংশ। এর আগে টুইটারে এক পোস্টে জাখারোভা বলেন, রাশিয়ার অসংখ্য চার্চ ধ্বংস করে, ন্যায়বিচার চাওয়ার অধিকার কিয়েভের নেই।