ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদৌ কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মুরগির গিলা-কলিজা খাওয়া?

  • পোষ্ট হয়েছে : ০১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৩ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: মুরগির গিলা-কলিজা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এজন্য মুরগির মাংস কিনতে গিয়ে অনেকেই গিলা-কলিজা বেশি করে কিনে আনেন।

 

মুরগির লেগপিস, উইংসের পাশাপাশি এই দুটিও বেশ জনপ্রিয়। মুরগির গিলা-কলিজা ঝাল-মসলা দিয়ে রান্না করলে এর স্বাদ হয়তো সবকিছুকেই হার মানায়। তবে এতে কি আদৌ কোনো পুষ্টিগুণ আছে?

 

এ বিষয়ে ভারতের নারায়ণা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের পুষ্টিবিদ চিকিৎসক পদ্মজা নন্দী জানিয়েছেন এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। তার মতে, মুরগির গিলা-কলিজার মধ্যে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান আছে।

 

মুরগির এই দুটি অঙ্গে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এছাড়া, ফসফরাস, জিংক ও ভরপুর ভিটামিন বি-১২ আছে। আবার এটি প্রোটিনেও ভরপুর।

 

পুষ্টিবিদের মতে, এটি শরীরের জন্য উপকারী। এমনকি অনেক রোগীকে মুরগির গিলা-কলিজা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন-

 

১. অ্যানিমিয়া রোগীদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকে। এর ফলে যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত তৈরি হয় না। তাদেরকে মাংসের গিলা-কলিজা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

২. গর্ভাবস্থায়ও নারীদের মাংসের গিলা-কলিজা খাওয়া জরুরি। কারণ আয়রন ছাড়াও এটি ফোলেটের গুণে সমৃদ্ধ। যা হবু মায়ের শরীরের জন্য জরুরি।

 

৩. ওজন ঠিক রাখতে শরীরে পুষ্টির দরকার হয়। মুরগির এই দুটি অংশে পুষ্টিগুণের ঘনত্ব অন্যান্য অঙ্গের থেকে অনেকটাই বেশি। তাই ওজন ঠিক রাখতেও পুষ্টিকর খাবার হিসেবে এগুলো খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

৪. মাংসের মাংসের গিলা-কলিজা মস্তিষ্কের জন্য় ভালো। কারণ এতে ভিটামিন বি-১২ আছে। এটি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সতেজ রাখে। এর ফলে বয়স বাড়লেও কগনিটিভ কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয় না।

 

৫. গিলা-কলিজায় আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে। আর আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। এর ফলে শরীরে রক্তের অভাব কমে।

 

৭. এর পাশাপাশি গিলা-কলিজা ফসফরাসে সমৃদ্ধ। যা হাড়ের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই গিলা-কলিজা খেলে হাড়ের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

আদৌ কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মুরগির গিলা-কলিজা খাওয়া?

পোষ্ট হয়েছে : ০১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: মুরগির গিলা-কলিজা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এজন্য মুরগির মাংস কিনতে গিয়ে অনেকেই গিলা-কলিজা বেশি করে কিনে আনেন।

 

মুরগির লেগপিস, উইংসের পাশাপাশি এই দুটিও বেশ জনপ্রিয়। মুরগির গিলা-কলিজা ঝাল-মসলা দিয়ে রান্না করলে এর স্বাদ হয়তো সবকিছুকেই হার মানায়। তবে এতে কি আদৌ কোনো পুষ্টিগুণ আছে?

 

এ বিষয়ে ভারতের নারায়ণা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের পুষ্টিবিদ চিকিৎসক পদ্মজা নন্দী জানিয়েছেন এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। তার মতে, মুরগির গিলা-কলিজার মধ্যে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান আছে।

 

মুরগির এই দুটি অঙ্গে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এছাড়া, ফসফরাস, জিংক ও ভরপুর ভিটামিন বি-১২ আছে। আবার এটি প্রোটিনেও ভরপুর।

 

পুষ্টিবিদের মতে, এটি শরীরের জন্য উপকারী। এমনকি অনেক রোগীকে মুরগির গিলা-কলিজা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন-

 

১. অ্যানিমিয়া রোগীদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকে। এর ফলে যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত তৈরি হয় না। তাদেরকে মাংসের গিলা-কলিজা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

২. গর্ভাবস্থায়ও নারীদের মাংসের গিলা-কলিজা খাওয়া জরুরি। কারণ আয়রন ছাড়াও এটি ফোলেটের গুণে সমৃদ্ধ। যা হবু মায়ের শরীরের জন্য জরুরি।

 

৩. ওজন ঠিক রাখতে শরীরে পুষ্টির দরকার হয়। মুরগির এই দুটি অংশে পুষ্টিগুণের ঘনত্ব অন্যান্য অঙ্গের থেকে অনেকটাই বেশি। তাই ওজন ঠিক রাখতেও পুষ্টিকর খাবার হিসেবে এগুলো খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

৪. মাংসের মাংসের গিলা-কলিজা মস্তিষ্কের জন্য় ভালো। কারণ এতে ভিটামিন বি-১২ আছে। এটি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সতেজ রাখে। এর ফলে বয়স বাড়লেও কগনিটিভ কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয় না।

 

৫. গিলা-কলিজায় আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে। আর আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। এর ফলে শরীরে রক্তের অভাব কমে।

 

৭. এর পাশাপাশি গিলা-কলিজা ফসফরাসে সমৃদ্ধ। যা হাড়ের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই গিলা-কলিজা খেলে হাড়ের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।