ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছাবে আজ

  • পোষ্ট হয়েছে : ১২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১২ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহসহ জাহাজটির ২৩ নাবিক। যদিও এ জন্য দিতে হয়েছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ। জাহাজটি মুক্তির পর আরব আমিরাতের দিকে রওনা দেয়।

আজ রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছবে জাহাজটি। জানা গেছে, সেখান থেকে দুজন নেমে গিয়ে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন।

বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহাজটি বহিনোর্ঙরে অবস্থান নেবে। একদিন পর ভিড়তে পারে জেটিতে। হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে সূত্র বলছে, নাবিকদের দেখভালের জন্য জাহাজের মালিকপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের একটি দল দুবাই যাচ্ছে। শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ।

২৩ নাবিকের ২১ জন জাহাজেই ফিরবেন। ২৫ থেকে ২৬ দিন পর তারা দেশে এসে পৌঁছাতে পারেন। অপর দুই নাবিক দুবাই থেকে ফ্লাইটে দেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একইদিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন।

দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর চারদিকে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয়।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছাবে আজ

পোষ্ট হয়েছে : ১২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহসহ জাহাজটির ২৩ নাবিক। যদিও এ জন্য দিতে হয়েছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ। জাহাজটি মুক্তির পর আরব আমিরাতের দিকে রওনা দেয়।

আজ রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছবে জাহাজটি। জানা গেছে, সেখান থেকে দুজন নেমে গিয়ে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন।

বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহাজটি বহিনোর্ঙরে অবস্থান নেবে। একদিন পর ভিড়তে পারে জেটিতে। হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে সূত্র বলছে, নাবিকদের দেখভালের জন্য জাহাজের মালিকপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের একটি দল দুবাই যাচ্ছে। শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ।

২৩ নাবিকের ২১ জন জাহাজেই ফিরবেন। ২৫ থেকে ২৬ দিন পর তারা দেশে এসে পৌঁছাতে পারেন। অপর দুই নাবিক দুবাই থেকে ফ্লাইটে দেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একইদিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন।

দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর চারদিকে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয়।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।