ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে শাহ আমানত সেতু এলাকায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ

  • পোষ্ট হয়েছে : ১২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
  • / ১৪ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: সারাদেশে ‘কপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকায় অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানেই পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নতুন ব্রিজ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ৪০০-৫০০ আন্দোলকারী অবস্থান নিয়েছেন। যান চলাচল করছে না। সড়কে গাড়িও নেই বললেই চলে। আন্দোলকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, সকাল ১১টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা অবস্থান ছাড়ছেন না।

 

শফিকুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সরকার এখন আন্দোলকারীদের ছাত্রদল শিবির বানাতে বযস্ত। এগুলো পুরোনো নাটক। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

শাহ আমানত সেতু এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিকের টিআই অপূর্ব কুমার পাল বলেন, সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে তারা বহদ্দারহাটের দিকে চলে যায়।

এই বিষয়ে পুলিশের বাকলিয়া জোনের ডিসি মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

গত মঙ্গলবার বিকেলে নগরের মুরাদপুর ও শুলকবহর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মো. ফারুক (৩২), ওয়াসিম আকরাম (২২) ও ফয়সাল আহমেদ (২০) নামের তিনজন নিহত হন।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

চট্টগ্রামে শাহ আমানত সেতু এলাকায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ

পোষ্ট হয়েছে : ১২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: সারাদেশে ‘কপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকায় অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানেই পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নতুন ব্রিজ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ৪০০-৫০০ আন্দোলকারী অবস্থান নিয়েছেন। যান চলাচল করছে না। সড়কে গাড়িও নেই বললেই চলে। আন্দোলকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, সকাল ১১টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা অবস্থান ছাড়ছেন না।

 

শফিকুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সরকার এখন আন্দোলকারীদের ছাত্রদল শিবির বানাতে বযস্ত। এগুলো পুরোনো নাটক। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

শাহ আমানত সেতু এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিকের টিআই অপূর্ব কুমার পাল বলেন, সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে তারা বহদ্দারহাটের দিকে চলে যায়।

এই বিষয়ে পুলিশের বাকলিয়া জোনের ডিসি মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

গত মঙ্গলবার বিকেলে নগরের মুরাদপুর ও শুলকবহর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মো. ফারুক (৩২), ওয়াসিম আকরাম (২২) ও ফয়সাল আহমেদ (২০) নামের তিনজন নিহত হন।