ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারকে সহযোগিতা করবে বিএনপি, রাখবে নজরও

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪৩ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বিএনপি। একই সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে নজর রাখছে দলটি। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ছাত্র-জনতার সর্বাত্মক গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পতন ঘটে গত ৫ আগস্ট। ১৬ বছর ধরে চলা শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার অবসানে দেশে স্বস্তি বিরাজ করলেও নৈরাজ্যময় পরিস্থিতিও তৈরি হয়। সরকার-শূন্যতা সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও যে কোনো নৈরাজ্য ঠেকাতে সতর্ক রয়েছেন। গত বুধবার ঢাকায় এক সমাবেশে নেতাকর্মীসহ জনগণের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আপনারা নৈরাজ্য শক্ত হাতে প্রতিরোধ করু। াষ্ট্র পরিচালনায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই সরকারের উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব নিয়েছেন। বিএনপি মনে করে স্বাধীন বাংলাদেশে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মনোযোগ দিয়ে কাজ করবে এবং সফল হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনায় সফল হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল শুক্রবার বলেন, নতুন সরকারকে তো সহযোগিতা করতে হবে। কেননা, হাজারো মানুষের রক্তের ওপর দিয়ে খুনি ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিদায় হয়েছে। দেশের জনগণ মুক্তির স্বাদ পেয়েছে। দেশে গণতন্ত্রহীনতার কারণে স্বৈরাচার সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র থাকলে নির্বাচিত হওয়ার জন্য মানুষের কাছে যেতে হয়। তা না হলে জবাবদিহি থাকে না। দীর্ঘসময় ধরে একটি অনির্বাচিত অবৈধ দখলদার সরকার থাকায় স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট হয়ে গেছে। তাদের কোনো ম্যান্ডেট ছিল না।

তিনি বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে এই আন্দোলন হয়েছে, ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে, তার সুফল হিসেবে আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। গণতন্ত্রের যে ঝরনা বাকি সবকিছু সেখান থেকেই বেরিয়ে আসবে। সংবিধান বলেন, আইনের শাসন বলেন, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বলেন, ভোটাধিকার বলেন সব অধিকার সেই ঝরনা থেকে বের হবে। জনগণকে তাদের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। এটাই হলো গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র।

আমীর খসরু আরও বলেন, ছাত্ররা রক্ত ও প্রাণ দিয়েছে। বিভিন্ন জনতা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা জেলে গেছেন, আত্মাহুতি দিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। এটার সুফল আনতে হলে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো মৌলিক অধিকারগুলো ফিরিয়ে দেয়, সেগুলোকে সঠিক জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে। কাজে যোগ দিচ্ছেন পলাতক থাকা পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে।

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের কোনো ঘটনার সঙ্গেই বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িত নন। নেতাদের সন্দেহ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এসব অপকর্ম করছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নেতাকর্মীরা এসব ঠেকাতে পাড়া-মহল্লায় পাহারায় রয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। একই সঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ওপরে চাপানোর জন্য সামাজিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে ব্যাপকভাবে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি গতকাল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ে আমাদের সব নেতাকর্মী কাজ করছেন। আমরা মনে করি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার দেশের জনগণের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বা প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে এই সরকার বিশেষভাবে নজর রাখবে এবং সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ। এক্ষেত্রে বিএনপি সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

বিএনপির চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির বিশেষ সহকারী বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপি এরই মধ্যে সমর্থন জানিয়েছে। যে কোনো সহযোগিতা দলের পক্ষে করা হবে। এরই মধ্যে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। একটি সুযোগসন্ধানী মহল ছাত্রজনতার বিজয় ম্লান করতেই পরিকল্পিতভাবে এসব করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। এজন্য বুধবার থেকে ২৪ ঘণ্টা পাহারা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

সরকারকে সহযোগিতা করবে বিএনপি, রাখবে নজরও

পোষ্ট হয়েছে : ০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বিএনপি। একই সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে নজর রাখছে দলটি। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ছাত্র-জনতার সর্বাত্মক গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পতন ঘটে গত ৫ আগস্ট। ১৬ বছর ধরে চলা শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার অবসানে দেশে স্বস্তি বিরাজ করলেও নৈরাজ্যময় পরিস্থিতিও তৈরি হয়। সরকার-শূন্যতা সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও যে কোনো নৈরাজ্য ঠেকাতে সতর্ক রয়েছেন। গত বুধবার ঢাকায় এক সমাবেশে নেতাকর্মীসহ জনগণের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আপনারা নৈরাজ্য শক্ত হাতে প্রতিরোধ করু। াষ্ট্র পরিচালনায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই সরকারের উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব নিয়েছেন। বিএনপি মনে করে স্বাধীন বাংলাদেশে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মনোযোগ দিয়ে কাজ করবে এবং সফল হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনায় সফল হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল শুক্রবার বলেন, নতুন সরকারকে তো সহযোগিতা করতে হবে। কেননা, হাজারো মানুষের রক্তের ওপর দিয়ে খুনি ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিদায় হয়েছে। দেশের জনগণ মুক্তির স্বাদ পেয়েছে। দেশে গণতন্ত্রহীনতার কারণে স্বৈরাচার সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র থাকলে নির্বাচিত হওয়ার জন্য মানুষের কাছে যেতে হয়। তা না হলে জবাবদিহি থাকে না। দীর্ঘসময় ধরে একটি অনির্বাচিত অবৈধ দখলদার সরকার থাকায় স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট হয়ে গেছে। তাদের কোনো ম্যান্ডেট ছিল না।

তিনি বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে এই আন্দোলন হয়েছে, ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে, তার সুফল হিসেবে আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। গণতন্ত্রের যে ঝরনা বাকি সবকিছু সেখান থেকেই বেরিয়ে আসবে। সংবিধান বলেন, আইনের শাসন বলেন, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বলেন, ভোটাধিকার বলেন সব অধিকার সেই ঝরনা থেকে বের হবে। জনগণকে তাদের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। এটাই হলো গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র।

আমীর খসরু আরও বলেন, ছাত্ররা রক্ত ও প্রাণ দিয়েছে। বিভিন্ন জনতা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা জেলে গেছেন, আত্মাহুতি দিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। এটার সুফল আনতে হলে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো মৌলিক অধিকারগুলো ফিরিয়ে দেয়, সেগুলোকে সঠিক জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে। কাজে যোগ দিচ্ছেন পলাতক থাকা পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে।

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের কোনো ঘটনার সঙ্গেই বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িত নন। নেতাদের সন্দেহ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এসব অপকর্ম করছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নেতাকর্মীরা এসব ঠেকাতে পাড়া-মহল্লায় পাহারায় রয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। একই সঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ওপরে চাপানোর জন্য সামাজিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে ব্যাপকভাবে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি গতকাল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ে আমাদের সব নেতাকর্মী কাজ করছেন। আমরা মনে করি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার দেশের জনগণের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বা প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে এই সরকার বিশেষভাবে নজর রাখবে এবং সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ। এক্ষেত্রে বিএনপি সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

বিএনপির চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির বিশেষ সহকারী বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপি এরই মধ্যে সমর্থন জানিয়েছে। যে কোনো সহযোগিতা দলের পক্ষে করা হবে। এরই মধ্যে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। একটি সুযোগসন্ধানী মহল ছাত্রজনতার বিজয় ম্লান করতেই পরিকল্পিতভাবে এসব করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। এজন্য বুধবার থেকে ২৪ ঘণ্টা পাহারা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।