প্রথমবার্তা, ডেস্ক: ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের শরীরেও নানা পরিবর্তন আসে। আর তার প্রথম ছাপটা পড়ে আমাদের ত্বকে আর চুলে। শীতকালে ত্বকের শুকনোভাব সামাল দেওয়ার জন্য ময়শ্চারাইজ়ার, নানারকম ফেস ক্রিম রয়েছে। কিন্তু শীতের শুষ্কতার হামলা চুলেও একইরকম প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত খুসকি, রুক্ষ বিবর্ণ চুল, এ সবই তারই চিহ্ন। শীতকালে যে পাঁচটি বড়ো সমস্যা চুলের হয়, তা চিহ্নিত করে মুক্তির হদিশ দিলাম আমরা। শুকনো, খড়ের মতো চুল এর অর্থ আপনার চুল এমনিতে শুকনোর দিকে, শীতের প্রভাবে তা আরও রুক্ষ হয়ে উঠছে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু বা চুল ব্লো ড্রাই করাটা এই মরশুমে একেবারে বন্ধ করে দিন। সপ্তাহে একবার, বড়োজোর দু’বার শ্যাম্পু করুন, তার বেশি কখনওই নয়। বাকি দিনগুলোয় জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন আর কন্ডিশনার লাগান চুলের ডগার দিকে। খাড়া খাড়া হয়ে ফুলে থাকা চুল শীতে চুলে স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটির পরিমাণ বাড়ে, ফলে চুল কিছুতেই সমানভাবে পেতে বসতে চায় না। চিরুনিতে হেয়ার স্প্রে নিয়ে আলতো করে চুলটা আঁচড়ে নিন। হাতে হেয়ার সিরাম নিয়ে আলতো করে লাগিয়ে নিলেও চুল মসৃণ দেখাবে। ভেজা চুল শুকোতে সমস্যা আগেই বলেছি, এই সময়টা যত দূর সম্ভব ড্রায়ার বা অন্যান্য হিটিং টুল এড়িয়ে চলা উচিত। কিন্তু একেবারে জবজবে ভেজা চুল নিয়েও তো বাইরে বেরোনো যায় না, আর চুল শুকোতেও সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়? আমাদের পরামর্শ, একটা বড়ো তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল প্রথমে চেপে বাড়তি জলটা শুষে নিন। ঘষবেন না, তাতে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এরপর তোয়ালেটা চুলে পাগড়ির মতো করে জড়িয়ে রেখে বাকি কাজ সারুন। মেকআপ করা বা পোশাক পরার মতো কাজগুলো এখনই করে নিতে পারেন। আশিভাগ চুল এতেই শুকিয়ে যাবে। বাকিটা শুকোতে এবং স্টাইলিং করতে হলে সামান্য ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন, অথবা প্রাকৃতিক হাওয়ায় শুকিয়ে নিতে পারেন। চুলের রং হালকা হয়ে যাওয়া শীতের শুষ্কতা রং হালকা করে দেয়, ফলে শীতকালে আপনার চুলের রং দ্রুত হালকা হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে রঙের স্থায়িত্ব কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে। চুলে সদ্য রং করানোর দু’ থেকে তিনদিনের মধ্যে আর শ্যাম্পু করবেন না। তারপর থেকে সপ্তাহে এক, বড়োজোর দু’বার শ্যাম্পু করুন। কালার ট্রিটেড চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারও চুলের রং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে? নেতিয়ে পড়া, বিবর্ণ, নিষ্প্রাণ চুল আধভেজা চুল কয়েকটা ভাগে ভাগ করে নিন। প্রতিটা ভাগ তুলে ধরে গোড়ার দিকে ভল্যুমাইজ়িং বা রুট-বুস্টিং হেয়ার স্প্রে লাগান। বড়ো, গোল ব্রাশ দিয়ে পছন্দমতো আঁচড়ে নিলেই আপনি রেডি!