প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: মস্কো এবং তেহরানের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এই সম্পর্ক বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেছেন;

 

ইরানকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ নজিরবিহীনভাবে উন্নত সামরিক সহায়তা প্রদান করছে রাশিয়া। এ ছাড়া দুই দেশই যৌথভাবে ড্রোন উৎপাদনে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

কিরবি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়া ইরানের তৈরি ড্রোন স্কোয়াডন লাইন তৈরি করছে। এ ছাড়া সুখোই এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য ইরানের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ইরানে সরবরাহ করবে রাশিয়া।

 

কিরবি আশঙ্কা করছে, এই যুদ্ধবিমান ইরানকে দেয়া হলে দেশটির বিমানবাহিনী তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীর তুলনায় যথেষ্ট শক্তিশালী করবে। কিরবি বলেন, ইরান এখন রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় সহায়তাকারী হয়ে উঠেছে।

 

রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে আঘাত করার জন্য ইরানের ড্রোন ব্যবহার করছে। লাখ লাখ ইউক্রেনীয়কে বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছে। ইরানের কর্মকাণ্ডের ফলে আজ ইউক্রেনের মানুষ মারা যাচ্ছে।

 

এদিকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি বলেন, রাশিয়ার প্রধান সামরিক সহায়তার দেশের কাতারে এখন যে নাম প্রথমে সেটি হচ্ছে ইরান। তাদের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

 

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে কঠোর চুক্তির অধীনে ইরান রাশিয়ায় শত শত ড্রোন পাঠাচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়া ইরান সরকারকে সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের অংশীদারদের এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি বাড়াবে।

 

পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ ইরান রাশিয়াকে কামিকাজি সুইসাইড ড্রোন সরবরাহ করেছে। এগুলো দিয়ে ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রধান স্থাপনায় হামলা করছে মস্কো। ইরান প্রথমে এটি অস্বীকার করে। কিন্তু পরে স্বীকার করে যে ইউক্রেনে যুদ্ধের অনেক আগে রাশিয়ায় সীমিতসংখ্যক ড্রোন পাঠানো হয়েছিল।