প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) স্বজনহারাদের নিয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

২০১৩ সালে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত ও আহতদের স্বজনদের আর্তনাদে শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভারি হয়ে উঠে।

 

এ সময় ছেলে নাহিদ হোসেনকে হারিয়ে মা রুনী বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার মতো অনেক স্বজন স্মৃতি হাতড়ে ভেঙে পড়েন কান্নায়। দাবি জানান জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের।

 

মানববন্ধনে অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়েও যেসব পুলিশ সদস্য, চালক, যাত্রী ও নিরীহ পথচারী প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন, তারাও জানান দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকার যন্ত্রণার কথা।

 

এ সময় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন শ্রমিক নেতারা। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৩ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছিল তা এখনও চলছে।

 

মানুষ হত্যা করাই তাদের নেশা। তারা রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। মানুষের জান-মাল রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশের ওপর হামলা করতেও তারা দ্বিধা করে না।তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসতে বিএনপি মানুষ হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে।

 

বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে।মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপির মুখে মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না। অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা বিএনপি নেতাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।