প্রথমবার্তা, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনাল অ্যাডিলেডের ব্যবহৃত পিচে হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

যুক্তরাজ্যের আইনিউজ ও উইজডেনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইংল্যান্ড প্রত্যাশা করেছিল সেমিফাইনাল ও ফাইনাল অব্যবহৃত (নতুন) পিচে হবে। কিন্তু ইংল্যান্ড-ভারতের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালটি হতে যাচ্ছে অ্যাডিলেডের এমন পিচে যেখানে এর আগে নিউ জিল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান খেলেছে।

মঙ্গলবার অ্যাডিলেডে অনুশীলন করতে এসে ইংল্যান্ড বিষয়টি প্রথম জানতে পারে এবং বিস্মিত হয়। যদিও পরবর্তীতে তারা বিষয়টি মেনেও নিয়েছে।

ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, অ্যাডিলেডের এই ব্যবহৃত পিচে খেলা হওয়ায় ভারতের রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেল বেশি সুবিধা পাবেন। যেটা ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ কিংবা মঈন আলী পাবেন না।

আইসিসি অবশ্য তাদের এমন সিদ্ধান্তের পক্ষাবলম্বন করে মঙ্গলবার জানিয়েছে, আইসিসির এমন কোনো নিয়ম নেই যে মেগা ইভেন্টের কোনো ম্যাচ নতুন কিংবা ব্যবহৃত পিচে আয়োজন করতে হবে। প্রত্যেক ম্যাচের জন্য আমাদের চেষ্টা থাকে এমন একটি পিচ নির্বাচন করা যেটাতে সেরা খেলাটা খেলা যায়। এটা আসলে গুরুত্বপূর্ণ নয় যে পুরাতন পিচের চেয়ে নতুন পিচ ভালো হবে। বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়েই পিচ নির্বাচন করা হয়। বিশেষ করে একটি টুর্নামেন্টে মাঠের পিচগুলোর ‘রোটেশন’ অনুসরণ করা হয় এবং যেটা খেলার জন্য ভালো হয় সেটাই নির্ধারণ করা হয়।

এক্ষেত্রে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনালই হয়েছিল নতুন পিচে। আর সেটা করা হয়েছিল ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ইংল্যান্ড হেরে যাওয়ার পর হওয়া সমালোচনার জের ধরে। সেবার কার্ডিফে ব্যবহৃত পিচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। ওই পিচে পাকিস্তান ‘হোম কন্ডিশনের’ মতো সুবিধা পেয়ে যায় এবং ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায়।

এখন দেখার বিষয় বৃহস্পতিবার এই ব্যবহৃত পিচে ভারত হোম কন্ডিশনের সুবিধা পায় নাকি ইংল্যান্ড দারুণ কিছু করে ফাইনালে পৌঁছে যায়।