প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: বিএনপির আন্দোলনে ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা দেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা ‘হতাশ’ হয়ে ‘আবোল-তাবোল বলছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

 

তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনের জন্য সরকার পুলিশি হামলা-মামলার পাশাপাশি শান্তি সমাবেশের নামে প্রতিনিয়ত জনগণকে ভয় দেখাচ্ছে। সভা-মিছিলে হামলা করে আহত, নিহত করছে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে এবং প্রতিটি কর্মসূচির দিন পালটা কর্মসূচি দিয়ে ক্রমাগত দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে। বিরোধী দল সচেতনভাবে এসব প্ররোচনার ফাঁদে পা না দেওয়ায় সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতারা হতাশ হয়ে আবোল-তাবোল কথা বলে লোক হাসাচ্ছেন।’

 

‘নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে পথ হারিয়ে বিএনপি পদযাত্রা করে বেড়াচ্ছে’- ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ড. মোশাররফ। এতে গত সোমবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালে ওই বৈঠক হয়।

 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ইউনিয়নে পদযাত্রাকে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাসীন দল ও পুলিশ বাধা দিয়েছে। তার অর্থ কী? আমাদের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিতে রাস্তায় নেমেছে। আওয়ামী লীগ যে পালটা শান্তি সমাবেশ করার কথা বলল, কয়টা ইউনিয়নে তারা শান্তি সমাবেশ করেছে? তারা তো শান্তি সমাবেশ করতে পারেনি। এই পারটা কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ হচ্ছে যে, তারা দুর্বল, তারা দৈন্যদশায় পড়েছে।’

 

তিনি বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তা ক্রমান্বয়ে বেগবান হয়ে সরকারকে পদত্যাগে ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করবে।’

 

মোশাররফ বলেন, ‘দেশের জনগণ আজ অতিষ্ঠ, ক্ষুব্ধ এবং অনিবার্য কারণে তারা প্রকাশ্যেই প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দেশের জনগণ এই দুঃসহ বর্তমান ও অনিবার্য ধ্বংস থেকে বাঁচতে চায়।

 

তাদের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ ও অক্ষম সরকারের পরিবর্তন চায় বলেই বিরোধী দলের সভা, সমাবেশ, মিছিলে তারা সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে; হামলা, মামলা, নির্যাতন অগ্রাহ্য করতে সাহসী হয়েছে এবং বিজয়ের লড়াইকে বেগবান করছে।’