প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: অর্থনৈতিক মন্দায়ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স অর্জন করেছে ভারত। গত বছরে (২০২২ সাল) দেশটিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা সর্বোচ্চ রেকর্ড। অপদিকে দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে প্রবাসী আয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরে বাংলাদেশের প্রবাসীরা ২১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ডিসেম্বর প্রান্তিকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ ভারত। দেশটির ২০২২ সালে প্রবাসী আয় ১০০ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান ২ দশমিক ৯ শতাংশ।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ভারত গত বেশ কয়েক বছর ধরে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে দক্ষ কর্মী পাঠাচ্ছে। এর ফলে দেশটিতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সে আসছে। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবাসী আয়ে ভারতের পরই পাকিস্তানের অবস্থান। ২০২২ সালে পাকিস্তান রেমিট্যান্স পেয়েছে ২৯ বিলিয়ন ডলার। এই অংক বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এছাড়া দেশটির জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদান ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

এশিয়ার মধ্যে প্রবাসী আয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের। ২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রবাসীরা ২১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। প্রবাসীদের এই আয় বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বাংলাদেশের প্রবাসী আয় দেশের মোট জিডিপিতে অবদান রাখছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স আহরণে অন্য দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানের আছে নেপাল। দেশটির প্রবাসী আয় সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। দেশটির পরবশই আয় তাদের মোট জিডিপির ২১ দশমিক ৮ শতাংশ।

পঞ্চম অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। ২০২২ সালে তাদের আয় ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং তাদের মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। একই সময়ে আফগানিস্তানের প্রবাসী আয় দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। যা তাদের মোট জিডিপির ২ শতাংশ এবং ভুটানের প্রবাসী আয় দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। যা দেশটির মোট জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ।