প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম কমেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী বৃহৎ অর্থনীতি চীনের উৎপাদন কর্মকাণ্ড বেড়েছে। ২০১২ সালের পর এ প্রথম এত দ্রুত তা বাড়লো। এতে মার্কিন মুদ্রার দরপতন ঘটেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বুধবার (১ মার্চ) প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে অনশোরে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি ডলারের মূল্য স্থির হয়েছে ৬ দশমিক ৮৮৫৪ ইউয়ানে। গত ২১ ফেব্রুয়ারির পর যা সর্বোচ্চ।

আর অফশোরে ইউয়ানের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ডলারপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ৬ দশমিক ৮৬৮৩ ইউয়ানে। গত নভেম্বরের শেষ দিকের পর একদিনে যা সবচেয়ে বেশি। সাধারণত, দেশের শিল্প-কারখানায় কার্যক্রম বাড়ায় এই ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রা ইউরোর মূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ। প্রতি ইউরো বিক্রি হয়েছে ১ দশমিক ০৬৬৪ ডলারে। দৈনিক ভিত্তিতে গত ১ ফেব্রুয়ারির পর যা সর্বাধিক। মূলত ওই অঞ্চলে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

তবে ব্রিটেনের মুদ্রা স্টার্লিংয়ের দর নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ। প্রতি স্টার্লিং বিকিয়েছে ১ দশমিক ২০১৬ ডলারে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধির অবস্থান থেকে সরে আসার আভাস দিয়েছে। ফলে এই নিম্নমুখিতা তৈরি হয়েছে।

একই দিনে নিউজিল্যান্ড মুদ্রার মান বেড়েছে ১ দশমিক ১২ শতাংশ। কিউই মুদ্রাপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে শূন্য দশমিক ৬২৫১ ডলারে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রার মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতি অজি মুদ্রার দাম নিষ্পত্তি হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৭৫৫ ডলারে।

নর্দিয়ার প্রধান বিশ্লেষক নিয়েলস ক্রিস্টেনসেন বলেন, চীনে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। অন্যান্য মুদ্রার জন্য যা ইতিবাচক হয়েছে। তাতে ডলারের বিপরীতে প্রায় সব মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি পেয়েছে।